জীবন আছে, জীবিকা থেকেও নেই! News News Desk প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২১ বার্তা প্রেরক মেহেদী তামিমঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) এর কাছে আজ বিশ্ব অসহায়। অসহায় হয়ে পরেছে ভাইরাসের কাছে মানুষের শেষ নিশ্বাস টুকু।দেশ,দেশের বাহিরে কত বড়,বড় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব,শিল্পপতি,নিজের আত্নীয় স্বজন সহ হার মেনেছে এই করেনা ভাইরাসের কাছে। আজ বৃদ্ধ বাবার সামনে থেকে চলে যাচ্ছে তরুণ সন্তান। শুধু বিশ্বকে অসহায়ই করেনি করোনা ভাইরাস, করেছে মানুষের কর্মকেও।করোনা ভাইরাসের কর্মের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বরিশালেও।একদিকে চলছে কঠোর লকডাউন, অন্যদিগে নেই রোজকার। বলছি বরিশালের জালাল এর কথা,বয়শ অনুমান ৪৫ বছর পেশায় ভ্যানে মৃৎশিল্পর খুচরা ব্যাবসায়ী।দেশের বাড়ি বিক্রমপুর,স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন বরিশালের সাবান ফ্যাক্টরি।মাস গেলেই গুনতে হয় ৩০০০ টাকা ভাড়া। ওদিকে করোনার কারনে দিতে পারেনি ২ মাসের ভাড়া। বর্তমানে নেই নিজের রোজগার,করোনার আগে ভালোই কাটছিলো স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে জীবন। দৈনিক ৭০০-৮০০ টাকা আয় করতেন। আর এখন বিক্রিই করেন ২০০-২৫০ টাকা,তার ভিতরে থাকে ৫০-৮০ টাকা, তা আবার শেষ হয়ে যায় রাস্তায় নিজের ব্যাক্তিগত খরচে।বাসায় ফিরতে হয় খালি পকেটে। ক্যানো একটু বেশি আয় করতে পারেননা জিজ্ঞেসা করলে বলে ভাই সরকার ৯-৩ টা পর্যন্ত বেচাবিক্রীর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে,তারপর আবার পুলিশ রাস্তায় ভ্যান নিয়ে দাঁড়াতে দেয়না। কিভাবে বিক্রি করমু বলেন। সংসার এখন কিভাবে চলে জিজ্ঞেসা করলে বলে ভাই কোনভাবে খেয়ে না খেয়ে আছি।জানিনা কবে আবার দেশ থেকে করোনা যাইবে আর কবে ঠিক মত বেঁচতে পারমু।সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কিছু পাইছেন না ভাই এখন পর্যন্ত পাইনায়, তবে শুনছি অনেকেই নাকি পাইছে। যদি পাইতাম তাহলে আমার অনেক উপকার হইতো। SHARES বিশেষ সংবাদ বিষয়: জীবন আছেজীবিকা থেকেও নেই